সবুজ হৃদয়ের স্পন্দন: ma

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় তথ্য ভিত্তিক একটি ওয়েব সাইট

ad

Showing posts with label ma. Show all posts
Showing posts with label ma. Show all posts

Monday, May 1, 2017

মৃত মায়ের সন্তান

আগামীকাল থেকে রমজান মাস। সকাল থেকেই মায়ের কাজের চাপ, বিশেষ করে ঘর পরিস্কার করা ইত্যাদি। আমি মায়ের কাজে সাহায্য করছি। ঘরে প্রচুর মাকড়সার জাল!! সমস্ত ঘরটাই তাদের দখলে। সব কিছুই পরিস্কার করতে লাগলাম।

 হঠাৎ আমার চোখ আটকে গেলো..... একটি মৃত মাকড়সাকে দেখতে পেলাম, আমার অবহেলার কারনে ততখনে ঝাটার এক আঘাতে মাকড়সার দেহ লন্ড-ভন্ড। আর মাকড়াসার বুকের ছোট্ট থলি থেকে বেরিয়ে আসলো, শতাধিক বাচ্চা মাকড়সা।
আমি সত্যি অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে রইলাম আর ভাবতে সুরু করলাম। বাচ্চা মাকড়সা গুলো জন্মের শুরুতেই মাকে হারালো। না জানি এদের কতো কষ্ট? যার মা নেই, সেই কেবল বুঝতে পারে! মা না থাকাটা কত কষ্টের-যন্ত্রনা দায়োক। 
আমরা অনেক ভাগ্যবান কারন আমাদের মা আছে!! আমাদের বিপদে-আপদে সাহয্য চাইবার আগেই হাজির হয়েযান মা। নিজে অনাহারে থেকে আমাদের খুধার চিন্তায় কাটিয়ে দেন, দিনের বেসির ভাগ সময়। আমরা রাত্রে তীব্র গরমকে বুঝতে পারি না।কারন:সারাদিন মায়েরা ঘামঝড়ানো পরিশ্রমকৃত ক্লান্ত শরীরে আমাদেরকে হাত পাখা দিয়ে বাতাস করেন!! 
আমাদের শত অন্যায় তার কাছে সাধারন ক্ষমার মাধ্যমেই শেষ হয়ে যায়। প্রতিদিন বাবার শ্বাসনের সামনে বাধা হয়ে দাড়ান। আমাদের যাদের মা আছে, তারা মায়ের ভালোবাসাকে খালি চোখে দেখতে পাই না। 
অামরা বুঝে-নাবুঝে কতইনা মায়ের সাথে দুর্ব্যাবহার করি।
জীবনের একটা সময়ে তাদের স্থান মেলে বৃদ্ধাশ্রমে। এই বৃদ্ধাশ্রম আমারাই সৃষ্টি করেছি। আমরা যারা শহরে ভালো ভাবে থাকি আর বৃদ্ধ-অসুস্থ্য মা-বাবাকে গ্রামে রাখি ,তারা ভাবে যে, মাস শেষে তাদেরকে কিছু টাকা দিয়ে দিলেই জেনো দায়িত্ব শেষ। আজকে মা-বাবাকে বোঝা মনে হয়। তারা কি সন্তানের কাছে টাকা চায়? তারা চায় ভালোবাসা। বৃদ্ধ জীবনে তাদের শক্তি-ক্ষমতার শেষ শিমানায়, আমাদের জন্যেই সবটা ব্যায় করেছেন। এমতা অবস্থায় তাদের চোখের অশ্রু গুলোও সুকিয়ে যায়।
তারা সারা জীবন চেয়েছেন, আমরা যেনো মানুষের মতো মানুষ হই, শিক্ষিত-জ্ঞানি হই। আমরা আজ সার্টিফিকেটের স্তর বাড়িয়েছি, শিক্ষিত হতে পেরেছি কিন্ত জ্ঞানি হতে পারলাম না।
আজকের এই সমাজ ব্যাবস্থা ঐ মা-বাবার শিক্ষিত সন্তানের দান। এইরুপ সমাজ ব্যাবস্থায় নতুন আইন প্রনোয়ন , জরিমানা কিংবা জেল খাটার ভয় দেখিয়ে কখনো কারোর মনে সেবামূলক মনুসত্ব জাগ্রত করা সম্ভব নয়। প্রয়োজন সামাজিক প্রতিরোধ মুলক ব্যাবস্থা, নৈতিক শিক্ষার গুরুত্ব দেওয়া।
সবাইকে মনে রাখতে হবে বয়োসের বার্ধক্য সবার জীবনেই আসবে, সেইদিন আর কারো পাসে #মা থাকবেন না!!
মা হচ্ছে চৈত্র মাসের মরুভুমির তীব্র রোদ্রের ছায়া। সারাক্ষন আমাদেরকে আগলে রাখেন।
 এত কিছু চিন্তার মাঝে; মাকড়সার লন্ড-ভন্ড শরীরটাকে পর্যব্যাক্ষন করার পরে; নিজের শরীর সিউরে উঠলো! 
মাকড়সা নিজ জীবনে একবারই ডিম থেকে বাচ্চার জন্মদেয়। কিন্ত অসহায় বাচ্চাদের বিপদের কথা চিন্তা করে কোথাও জায় না। নিজের বাচ্চাদের খাবার জোগাতে, নিজের বুকের অংশকে তিলে তিলে বাচ্চার খাবারে পরিনত করে। আর তাই এই মাকড়াসাটির মৃত্যু হয়েছে। মা মাকড়সার দেহটির বিচ্ছিন্ন অংশ গুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে। আর শতাধিক বাচ্চাগুলো যে যার মতো পারছে জীবনের প্রথম দৌড় দিয়ে নিজেকে বাচানোর চেষ্টা করছে। 
বাচ্চাগুলো মায়ের আদর, স্নেহ-ভালোবাসা কি? তা জান্তেও পারলো না....>>>

 রাইটার সবুজ

HSC Results 2018 ।। Jessore Board

Admin

Admin
visited of india, 2016

Popular Posts